যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমি ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলসহ তাদের পরিবারের চার সদস্যের নামের চারটি স্থাপনা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক মো.

আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সভায় বোর্ডের ১৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের নতুন নাম কবি নজরুল একাডেমিক ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নতুন নাম তাপসী রাবেয়া ছাত্রী হল, শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের নতুন নাম বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিমনেশিয়াম, ওয়াজেদ মিয়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন হয়ে ইনস্টিটিউট ফর হায়ার স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ এবং ঝিনাইদহে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ভেটেরিনারি কলেজের ছাত্র হলের নতুন নামকরণ হয়েছে কবি গোলাম মোস্তফা ছাত্র হল।

রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসেন আল মামুন বলেন, খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এসব স্থাপনার নাম পরিবর্তনের জন্য নতুন নাম আহ্বান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া নাম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যাচাই-বাছাই করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ