গত বুধবার অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেতা জিন হ্যাকম্যান ও তাঁর স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের মৃত্যুর রহস্য এখনো পুরো খোলাসা হয়নি। এদিকে তাঁদের মৃত্যু ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে নতুন তথ্য, যা উসকে দিয়েছে নতুন প্রশ্ন।
জিন হ্যাকম্যানের রহস্যজনক মৃত্যুতে সারা দুনিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফে এলাকায় একটি আবাসনের কটেজে বুধবার জিন, তাঁর স্ত্রী ও পোষা কুকুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

অনেকেই অনুমান করেছিলেন, কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় হ্যাকম্যান ও বেটসির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে কার্বন মনোক্সাইড পরীক্ষায় দুজনই নেগেটিভ। এদিকে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সান্তা ফের শেরিফ অ্যাডান মেনডোজা জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধারের ৯ দিন আগেই হ্যাকম্যানের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে! তিনি বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হ্যাকম্যানের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়, সেটিই ছিল সম্ভবত তাঁর জীবনের শেষ দিন।

জিন হ্যাকম্যান। এএফপি ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য কম য ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ