অপহরণের পর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
Published: 1st, March 2025 GMT
নোয়াখালীরর মাইজদীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. মাসুদ (২২) সদর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আজ বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, আজ ভোরে মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকায় অচেতন অবস্থায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে ফেলে চলে যায় অপহরণকারী। বর্তমানে সে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো.
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে শনিবার ভোরের দিকে জেলা শহরের হাউজিং আবাসিক এলাকা থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। ওই এলাকায় স্কুলছাত্রীর বোনের বাসা। খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রীর পরিবার তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।
চিকিৎসক ও তার পরিবারের ধারণা, ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মাসুদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিকেলে থানায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি রোববার সকালে নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ গ র প ত র কর অপহরণ র পর পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।