বলা হয় স্ত্রী ব্যাঙের নাক অনেক উঁচু। সব পুরুষ সঙ্গীকে তাদের পছন্দ না। কিন্তু পুরুষ ব্যাঙ কি আর তাদের কথা শোনে? জোর করে প্রেম আদায় করার সময় স্ত্রী ব্যাঙ মূর্ছা যায়, মৃত্যুর ভান করে। জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত জাদুঘর ফার ন্যাচারকুন্ডের গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলেন, স্ত্রী ব্যাঙ প্রায়ই অবাঞ্ছিত প্রেমিকদের এড়াতে মৃত্যুর ভান করে। অসাধারণ এক অভিনয়ের মাধ্যমে তারা নিজের মৃত্যুর ভান করে অবাঞ্ছিত প্রেমিকদের এড়িয়ে চলে।

সাধারণভাবে কিছু ব্যাঙ প্রজাতির প্রজননকাল কম। প্রজননকাল কম বলে অনেক বেশি সঙ্গমের প্রয়োজন হয় তাদের। সাধারণত বসন্তকালে পুরুষ ব্যাঙ ও স্ত্রী ব্যাঙের মধ্যে সঙ্গম বেড়ে যায়। তবে কিছু স্ত্রী ব্যাঙ এ ক্ষেত্রে দূরে থাকতে চায়। তারা প্রতিবছর প্রজননে অংশ নিতে আগ্রহ দেখায় না। আর প্রকৃতিতে পুরুষ ব্যাঙের সংখ্যা স্ত্রী ব্যাঙের চেয়ে বেশি বলে প্রবল প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। অনেক পুরুষ ব্যাঙ একটি স্ত্রী ব্যাঙের জন্য লড়াই করে। পুরুষ ব্যাঙের জোরপূর্বক মনোযোগ আকর্ষণের ফলে স্ত্রী ব্যাঙ প্রায়ই মারা যাওয়ার ভান করে। আগে মনে করা হতো, অবাঞ্ছিত আক্রমণের কারণে স্ত্রী ব্যাঙ অসহায় হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে মৃত্যুর ভান করে তারা।

আক্রমণাত্মক পুরুষ ব্যাঙের সংস্পর্শে আসার পরে স্ত্রী ব্যাঙ মৃত্যুর ভান করে। একে টনিক ইমমোবিলিটি বলে। এ অবস্থায় স্ত্রী ব্যাঙ তাদের হাত ও পা শক্ত করে সটান হয়ে শরীর স্থির করে ফেলে। পুরুষ ব্যাঙ তাদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত স্ত্রী ব্যাঙ স্থির থাকে। গবেষকেরা মনে করছেন, ব্যাঙের রক্তে কর্টিকোস্টেরনের উপস্থিতি এ সময় বেড়ে যায়। অবাঞ্ছিত পুরুষ ব্যাঙের সঙ্গে লড়াই করতে আগ্রহ থাকে না স্ত্রী ব্যাঙের। তাই স্থির হয়ে মৃত্যুর ভান করে তারা। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৪৬ শতাংশ স্ত্রী ব্যাঙ এই কৌশলে পালিয়ে যায়।

সূত্র: এ-জেড অ্যানিমেলস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ত য র ভ ন কর অব ঞ ছ ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ