প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।
রবিবার (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এতথ্য জানান তিনি।
জাতীয় ভোটার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে’। ভোটার দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করেছে ইসি। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
আরো পড়ুন:
জয় শাহের সাথে সাক্ষাতের পর পাকিস্তান যাবেন ফারুক
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর গতকাল শনিবার বলেন, “বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়। গত ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।”
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী এ বছরের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় মোট ৫১ লাখের মতো নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হলেও এখনো ভোটার হননি তাদেরকে এ তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে এ কাজ এগিয়ে রাখছে ইসি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’