খুলনার রূপসা উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে মাংস ব্যবসায়ী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল শেখের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকার ভৈরব নদ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাহফুজুর রহমান। মাংস ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ উপজেলার সিংহের চর আইচগাতী এলাকার জহুর শেখের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার গল্লামারী এলাকার মাংস ব্যবসায়ী আরিফ ও তাঁর সঙ্গী সেনের বাজারের মাংস ব্যবসায়ী জুয়েল-রুবেলের কাছে পাওনা টাকা আনতে যান। বিষয়টির সমাধানে উভয় পক্ষকে নিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় সালিসে বসেছিল সেনের বাজার কমিটি। এ সময় আরিফের সঙ্গে জুয়েল-রুবেলদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জুয়েল ও রুবেল চাপাতি নিয়ে আরিফ ও সঙ্গী শাহিনের ওপর হামলা চালান। জুয়েল আরিফের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। এ ঘটনার পরপর স্থানীয় বাসিন্দারা জুয়েল শেখকে ধাওয়া দিলে বাঁচার জন্য তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে জুয়েল শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুনখুলনায় পাওনা টাকা আনতে গিয়ে চাপাতির আঘাতে মাংস বিক্রেতা নিহত০১ মার্চ ২০২৫

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেদিন জুয়েল যেখানে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, সেখান থেকে ২০০-৩০০ গজ ভাটির দিকে ভৈরব নদে তাঁর মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ভাটার সময় মরদেহ পাওয়া গেছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য আমরা মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আরিফ হত্যার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জুয়েল।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব যবস য় র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ