ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলকে মারধর করায় অভিযোগ এনে যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কনস্টেবল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল নম্বর ১৭১১) শরিফুল ইসলাম যশোর শহরের জেল সড়কে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিতে বলেন। 

এসময় শাওনের সঙ্গে পুলিশ সদস্য শরিফুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওন ওই কনস্টেবলের মুখে ঘুষি মারেন। ধস্তাধস্তিতে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন। 

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কের ওপর ছাত্রদল নেতা শাওন মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টি করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কনস্টেবল শরিফুল তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন, ‘চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না। আর তুই!’ এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন। শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • ফতুল্লার  শিবু মার্কেট এলাকায় মাও. জব্বারের গণসংযোগ,: ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত প্রার্থী
  • সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করলো বিএনপি
  • ‘এইচ টি ইমামের’ বন্ধ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬