২৫ নং ওয়ার্ডে পাম্প হাউসের ক্যাবল চুরি, দুর্ভোগ
Published: 2nd, March 2025 GMT
বন্দরে ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষণখোলা- দাসেরগাঁ পাম্প হাউসের বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ মার্চ) ভোরে ওই পাম্পের প্রায় ৩০ ফুট ক্যাবল চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোরেরা। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পাম্পের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
ফলে পবিত্র মাহে রমজানে এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোজাদাররা । এ ব্যাপারে পাম্প অপারেটর রাজু মিয়া বাদি হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পাম্প অপারেটর রাজু জানান, সাহরি খাওয়ার পর রোববার ভোরে পাম্প বন্ধ করে তিনি চলে যান । এ সময় চোরেরা পাম্পের প্রায় ৩০ ফুট বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি করে নিয়ে যায়। সকাল ৮টায় পাম্প চালু করতে এসে ক্যাবল চুরির বিষয়টি নজরে আসে। ক্যাবল চুরির কারণে পানি উত্তোলন ও গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান ।
পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা নাসিকের সহকারি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল জোবায়ের জানান, দুই সপ্তাহ আগে এ পাম্পের ক্যাবল চুরি হয়। পরে নতুন ক্যাবল স্থাপন করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু রোববার পুনরায় ক্যাবল চুরি হয়। বার বার ক্যাবল চুরি হওয়ায় পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। চোরদের গ্রেপ্তার ও ক্যাবল উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক য বল চ র সরবর হ
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।