যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এখন পুরোটাই ধ্বংসস্তূপ। সেখানে কেবল হাতে গোনা কয়েকটি ভবন আস্ত রয়েছে, বাকি সব ধূলায় মিশে গেছে। এমন পরিস্থিতিতেও রমজান উপলক্ষে রঙ-বেরঙের সাজসজ্জা করেছেন ফিলিস্তিনিরা। বিভিন্ন রঙের বেলুন আর কাগজ দিয়ে সাজিয়েছেন তাদের জন্মভূমি, স্বাগত জানিয়েছেন রোজাকে।
শনিবার দক্ষিণ গাজায় ধ্বংসস্তূপের ঢিবির মধ্য দিয়ে কয়েকশ মিটার দীর্ঘ লাল রঙে আচ্ছাদিত টেবিল তৈরি করেছেন ফিলিস্তিনিরা। সেখানে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে রোজা ভাঙতে একসঙ্গে জড়ো হন তারা। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিবেশে ইফতার করেন তারা।
ধ্বংসস্তূপের কাছে সম্মিলিতভাবে এই ইফতারের আয়োজন করেছিলেন মালাক ফাদ্দা। তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমাদের চারপাশের সবকিছু হৃদয়বিদারক। তাই আমরা এ রাস্তায় আনন্দ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঠিক যেমনটি যুদ্ধের আগে ছিল।’
মোহাম্মদ আবু আল-জিদিয়ান বলেন, ‘আমরা এখানে ধ্বংসস্তূপের মাঝে আছি এবং ব্যথা এবং ক্ষত সত্ত্বেও আমরা অবিচল আছি। আমরা আমাদের জমিতে ইফতার খাচ্ছি এবং আমরা এ জায়গা ছেড়ে যাব না।’
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ভোর হওয়ার আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা আলোকিত করে সেহেরির জন্য অনেককে ভিড় করতে দেখা যায়।
উত্তর গাজার ক্ষতিগ্রস্ত জাবালিয়া শিবিরের বাসিন্দা ওমর আল-মাধৌন বলেন, ‘আমার বাচ্চারা মাঝে মাঝে আমার কাছে কাপড় এবং খাবার চায়, কিন্তু আমি তাদের খরচ জোগাতে পারি না কারণ আমি দেড় বছর ধরে কর্মহীন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধ্বংসের মাঝে বসে আছি, আমাদের জীবন কীভাবে পরিচালনা করব তা জানি না। আমরা আরও আশঙ্কা করছি যে যুদ্ধ আবার ফিরে আসবে, আরও ধ্বংস ডেকে আনবে।’
সূত্র: আল-আরাবিয়া
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।
অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।
ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।
কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।