ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিশেষ শাখা। সহজভাবে বলতে গেলে বাংলায় এর অর্থ হলো তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। এমআইএস টার্মটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য টার্ম হচ্ছে, ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম, ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম, এক্সপার্ট সিস্টেম, এক্সিকিউটিভ ইনফরমেশন সিস্টেম।
এমআইএস পড়ার সুযোগ রয়েছে যেখানে:
এমআইএস প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এসএসসিতে যে কোনো বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এইচএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হলে ভালো হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ ও মানবিক বিভাগের জন্য কিছু আসন বরাদ্দ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ‘গ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। এ ছাড়া ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে গ্রুপ চেঞ্জ করে এমআইএস এ ভর্তি হওয়া যাবে। এমআইএস সাবজেক্ট মাত্র তিনটি সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান করানো হয়।
যেসব বিষয় পড়ানো হয়:
এমআইএস একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট (কারণ এখানে বিবিএর পাশাপাশি সিএসইর বেশকিছু কোর্স পড়ানো হয়) এমআইএস এ যা যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে–
Computing Fundamentals, Bangladesh Studies, General Science & Environment, Business and ICTlaws, Advanced Information Systems, Operations Management, Programming FundamentalsInformation Systems Security, Programming for IS (python), Database Management, Management Accounting, Data Communication
and Networking, Applied Database (Oracle), IT Investment Management,Management of Telecommunications,Web design Development, Artificial Intelligence, Strategic Management & Information Systems, Fundamentals of Management Information Systems কোর্সসহ মোট ১৪১ ক্রেডিটের কোর্স পড়ানো হয়। এর পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যান্য বিভাগের মতো কিছু কোর্স পড়ানো হয়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে এই বিষয়ে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে।
এমআইএস গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র:
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে এবং আইটি সেক্টরেও এর চাহিদা অপরিসীম। আধুনিক যুগে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞানের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, যা কেবল এমআইএস বিভাগে রয়েছে। সে কারণে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এমআইএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে তুলনামূলক এগিয়ে থাকায় প্রচুর পরিমাণে করপোরেট চাকরির সুযোগ রয়েছে। ব্যাংক, বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে এমআইএস কার্যকরী ও যুগোপযোগী সাবজেক্ট। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিতে ভালো করার সুযোগ রয়েছে।v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ক ষ অন য ন য পর ক ষ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’