যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলি, পথচারী আহত
Published: 3rd, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শফিকুল ইসলাম শফিক নামে এক যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলিবর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার কর্নগোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জাফর আলী নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।
হামলার জন্য রিয়াজ হোসেন নামে আরেক যুবদল কর্মীকে দায়ী করেছেন শফিকুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, রিয়াজ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এটা অস্বীকার করায় রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেন।
শফিকুলের ভাষ্য, শনিবার রাত ৯টার দিকে রিয়াজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তাঁর বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় জাফর আলী নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে রিয়াজ হোসেন দাবি করেন, তিনি কোনোদিন চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসে জড়িত ছিলেন না। শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কিছু বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এ ঘটনার জেরে তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই চাঁদাবাজির অপবাদ দিয়েছেন। হামলায়ও তিনি জড়িত নন বলে উল্লেখ করেন রিয়াজ। তাঁর ভাষ্য, ঘটনার সময় তিনি এলাকায়ই ছিলেন না।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, তারাব পৌর যুবদলের কর্মী শফিকুল ইসলামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।