বলিভিয়ায় দুটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ, নিহত ৩৭
Published: 3rd, March 2025 GMT
বলিভিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি মহাসড়কে গত শনিবার দুটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ৮ শিশুসহ অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এটি এ বছরে এখন পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা।
কর্নেল উইলসন ফ্লোরেস এএফপিকে বলেন, উয়ুনি শহরের কাছে এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত ছাড়াও এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন আহত হয়েছেন এবং তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ছয়জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের পাঁচজন পেরুর নাগরিক এবং তিন বছর বয়সী এক জার্মান মেয়েশিশুও রয়েছে।
শনিবার সকালে একটি সরু দ্বিমুখী রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি বাস ওরোরো প্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে লাতিন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম উৎসব ওরোরো কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাসিন্দার দেশটিতে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’