একাদশের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার, আবেদন যেভাবে
Published: 3rd, March 2025 GMT
অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে দেওয়া হবে এ সহায়তা। সহায়তার অর্থ পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী বুধবার (৫ মার্চ) থেকে। বিষয়টি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। ১০ এপ্রিল ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে ভর্তি সহায়তা পেতে আবেদন করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভর্তি সহায়তা নির্দেশিকা’ অনুসারে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি সহায়তা দেওয় হয়।
আরও পড়ুন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তি, দেখুন বিস্তারিত০১ মার্চ ২০২৫কারা আবেদনের যোগ্য—*সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তান আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। অন্য ক্ষেত্রে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে।
*ই-ভর্তি সহায়তা ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্য সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে।
*ভর্তি সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সুপারিশ প্রয়োজন হবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মা–বাবা বা অভিভাবকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ প্রয়োজন হবে।
*আবেদনের বিস্তারিত ও আবেদনের পদ্ধতি দেখুন এখানে
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের সময় বৃদ্ধি, এমসিকিউ ১০০, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে০১ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনফুলব্রাইটসহ কয়েকটি স্কলারশিপে অর্থায়ন বন্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনআজ থেকে ৪০ দিনের ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে০২ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে, তালিকায় রাজধানীর প্রবেশদ্বার খ্যাত ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, নাম ঘোষণা না করা আসনগুলো মিত্র দলগুলোর জন্য রাখা হতে পারে। যদিও এখনো আশা ছাড়েননি এই আসনে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী চার নেতা-নেত্রী। তারা বলছেন, দল যাকেই প্রার্থী করবে, তার পক্ষেই কাজ করবেন।
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল
সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন। আগামী নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তমিজ উদ্দিন ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দিনভর বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ২৩৭টি আসনের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে দলের পক্ষ থেকে তালিকা প্রকাশ করা হয়। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলেও ঢাকা-২০ সহ সাতটি আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এ বিষয়ে তমিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা আমি জানি না। এটা আসলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় জানবেন আর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা জানবেন। আমি জানি যে আমারটা হয়ে আছে। এখন ঘোষণার সময় শুনলাম আপাতত স্থগিত। দল করি, ফলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু ভাবা যাবে না, করাও যাবে না। দেখি, অপেক্ষা করি। আমি এ নিয়ে চিন্তিত নই।”
তিনি বলেন, “গুলশানে সাক্ষাৎকারে একটাই মূল কথা ছিল, যাকেই দেওয়া হোক, সবাই মিলেমিশে কাজ করবে। দল করি, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই করতে হবে। আমি এখনও আশাবাদী। মনোনয়নের কর্তৃপক্ষ আছেন, তারা হয়তো খুঁটিনাটি দেখছেন। দল যখন করি, দলের বাইরে যাওয়া যাবে না।”
তমিজ উদ্দিনের সহযোগী ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, “এটা দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। হয়তো কোনো কারণে বাদ পড়েছেন তিনি। সিদ্ধান্ত তো হবেই। আমরা আশাবাদী। মাঠ তমিজ উদ্দিনের পক্ষে। বিএনপির সবাই মূল দলের। আর আমরাই মূল দল। তারপরও নেতারা আছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন, তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শতভাগ আশাবাদী।”
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানা আহমেদ বলেন, “আমি বর্তমানে দেশে নেই, ওমরাহ করতে এসেছি। ওখানে থাকলে হয়তো আরও ভালো বলতে পারতাম। সিদ্ধান্তটি হয়তো আরও গভীরভাবে যাবে, সেজন্যই এমনটি হয়ে থাকতে পারে। আমি মনোনয়ন আশা করি, আমি আশাবাদী।”
মনোনয়নের আশায় আছেন তরুণ দুই নেতাও। তারা বলছেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, “দলের নিজস্ব চিন্তা চেতনা পরিকল্পনা রয়েছে। সেভাবেই সিদ্ধান্ত হবে। আমি শতভাগ আশাবাদী। দল যখন ঘোষণা করবে, সবাই জানবে। আমি দলের আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল, সেটি ধরে রেখে রাজনীতি করেছি। ভবিষ্যতেও সেটি অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি বলেন, “দল তারুণ্যের পক্ষে। আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। সেজন্য কাজ করছি। আশা করছি, দল ঢাকা-২০ আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে আমাকে মনোনীত করবে।”
এদিকে, বিএনপির চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও অন্যান্য দলগুলো তুলনামূলকভাবে নির্ভার। ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আব্দুর রউফ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আসাদুল ইসলাম মুকুল, গণঅধিকার পরিষদের রুবেল এবং এবি পার্টির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন।
ইতিহাস বলছে, প্রথম থেকে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ধামরাই উপজেলা ছিল ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের তাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপির দেওয়ান মোহাম্মদ ইদ্রিস, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির খান মোহাম্মদ ইসরাফিল এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার বিজয়ী হন বিএনপির ব্যারিস্টার মো. জিয়াউর রহমান খান।
২০০৮ সালে আসন পুনর্বিন্যাসের পর ধামরাই হয় ঢাকা-২০ আসন। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয় পান এম এ মালেক। এরপর ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারো জয়ী হন বেনজীর আহমদ।
ঢাকা/মাসুদ