সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও হার এড়াতে পারল না বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচের মতোই ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল।

দুবাইয়ে আরব আমিরাত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতির পর একটি গোল শোধ করলেও হজম করতে হয় আরও একটি গোল। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে হারের সঙ্গেই শেষ হলো বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন এক অধ্যায়।

সাফজয়ী দলের ১৮ ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায় এই সফরে ছিলেন না। ফলে নতুন খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখেন ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। দুই ম্যাচে ছয় গোল হজম করলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট তিনি। ম্যাচ শেষে কোচ বলেন, ‘আমি শুধুই জয়ের চিন্তা করি না, আমি উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিই। এই এক সপ্তাহ বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

২৩ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে দুবাই সফরে থাকা বাটলার দ্বিতীয় ম্যাচে একাধিক খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজ অনেক নতুন খেলোয়াড়কে খেলিয়েছি, তারা ভালোই করেছে। প্রতিপক্ষ দলে দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়ের আধিক্য এবং সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে তারা এগিয়ে। আমরা শারীরিকভাবে হয়তো ওদের সঙ্গে লড়াই করতে পারব না, কিন্তু মানসিক দৃঢ়তা ও খেলার চরিত্র দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এই মেয়েরা সেটাই দেখিয়েছে, এজন্য আমি গর্বিত। এরাই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ