পাকিস্তানে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত ৬
Published: 3rd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরাট শহরে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২ মার্চ) মিয়ানা চাক ডিঙ্গা এলাকায় একদল অজ্ঞাত হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে একটি গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এই হামলার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজ করেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে—তারা হলেন জাহিদ নাজিম (৩০), মুাবাশির (২৬), জুনাইর (৩০), জাভেদ ইকবাল (৩৩) ও রুখসার (৩৫)। অন্য একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
হামলার খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহগুলো হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
এ বিষয়ে পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ ঘটনার প্রতিবেদন চেয়ে আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তাকে (আরপিও) নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও উপজাতিগত সহিংসতার জেরে গুলিবর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও বিচারে দুর্বল প্রসিকিউশনের ফলে দোষীরা মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে করাচির তারিক রোডের কহকশান ভবনে গুলিতে নিহত হয়েছিলেন পৌর সংস্থার এক কর্মচারী।
সূত্র: জিও নিউজ
এনজে
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’