ইউক্রেনে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিচ্ছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য: মাখোঁ
Published: 3rd, March 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিচ্ছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।
তবে এই যুদ্ধবিরতির আওতায় স্থলযুদ্ধ পড়বে না। আকাশ, সমুদ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিরতি প্রযোজ্য হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ গতকাল রোববার ফরাসি দৈনিক লে ফিগারোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
মাখোঁ বলেন, যুদ্ধবিরতি হলে তা মানা হচ্ছে কি না, সেটি যাচাই করাটা খুব কঠিন হবে। কারণ, রণক্ষেত্র এত বড় যে তা প্যারিস থেকে বুদাপেস্ট পর্যন্ত দূরত্বের সমান।
ইউক্রেনে শান্তি পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আহ্বানে গতকাল লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের একটি সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে যোগ দেন মাখোঁ। সম্মেলনের পর এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এক মাসের আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য দিচ্ছে বলে সাক্ষাৎকারে জানান মাখোঁ।
আরও পড়ুনলন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনের পক্ষে চার বিষয়ে মতৈক্য১২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার দুই দিন পর লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের সম্মেলনটি হলো। সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর দেশকে আরও সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মাখোঁ বলেন, ফ্রান্স-ব্রিটিশ প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইউরোপীয় স্থলসেনা মোতায়েন করা হবে ইউক্রেনে। আগামী সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে কোনো ইউরোপীয় সেনা থাকবে না।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রকে নিয়েই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ইউরোপ৮ ঘণ্টা আগেমাখোঁ বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হলো, যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা এ সময়টিকে কীভাবে কাজে লাগাব। আলাপ-আলোচনা করতেই কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। তারপর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সেনা মোতায়েন করা হবে।’
আরও পড়ুনলন্ডন সম্মেলন কি ট্রাম্পের মন জোগাতে পারবে৩৯ মিনিট আগেফ্রান্স ও ব্রিটেনের এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানেন কি না, এ বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকের করা প্রশ্নে মাখোঁ বলেন, ‘আমি সবকিছু সম্পর্কে অবগত।’
মাখোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি ব্যয় করতে হবে। ইউরোপীয় কমিশনকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অর্থায়নে আরও উদ্ভাবনী হতে হবে।
আরও পড়ুনইউক্রেন নিয়ে লন্ডন সম্মেলনের ওপর নজর রাখছে মস্কো১৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইউরোপ কি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন র প ইউর প য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’