৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি
Published: 3rd, March 2025 GMT
আজ রাতে তেহরানে ইরানি ক্লাব ইসতেগলালের মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের আল নাসর। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগের এই ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলছেন না। গতকাল আল নাসর ইরানে পৌঁছালেও রোনালদো যাননি।
কেন যাননি, এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোনো গণমাধ্যম বলছে, ইরানে গেলে ৯৯ দোররা ভোগ করতে হতে পারে, কেউ বলছে তেহরানে রোনালদোর নিরাপত্তার শঙ্কা আছে। আবার চোটের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
রোনালদো সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন শনিবার সৌদি প্রো লিগে আল-ওরোবাহর বিপক্ষে। সাধারণত, রোনালদোর মতো তারকারা বিভিন্ন কারণে লিগের ম্যাচ মিস করলেও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা মিস করতে চান না। আর এবারের প্রো লিগে অবস্থান ভালো না থাকায় (চতুর্থ) এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগেই বেশি মনোযোগ আল নাসরের। তার ওপর প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা বলে রোনালদোর মতো তারকাকে দলে পেতে চাইবেন যেকোনো কোচই।
এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের জন্য আল নাসর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্কোয়াড প্রকাশ করেছে, সেখানে রোনালদোর নাম নেই। কেন নেই—এ বিষয়ে মার্কাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে ৯৯ দোররার কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পারসেপোলিসের বিপক্ষে আল নাসরের হয়ে খেলতে তেহরানে গিয়েছিলেন রোনালদো। ওই সময় সেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার এক নারী চিত্রশিল্পীকে জড়িয়ে ধরতে ও চুমু খেতে দেখা গেছে রোনালদোকে। এ ঘটনার ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুনরোনালদো ভুল সময়ে জন্ম নিয়েছে—বললেন দি মারিয়া১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কার খবরে বলা হয়, ইরানের আইন অনুসারে রোনালদোর ওই ঘটনা ‘ব্যভিচার’ হিসেবে পরিগণিত। যার শাস্তি ৯৯টি বেত্রাঘাত বা দোররা। ২০২৩ সালের ওই ঘটনার শাস্তি হতে পারে বলে রোনালদো সেখানে যাননি। তবে এ বিষয়ে কোনো সূত্রের উল্লেখ করেনি মার্কা।
আল নাসর এবারের ম্যাচটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের অনুরোধ করেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) কাছে, তবে সংস্থাটি তাতে রাজি হয়নি বলেও খবরে বলা হয়েছে।
দলের অন্যদের সঙ্গে তেহরানে যাননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র খবর
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ দিয়েও পাঁচ মাস ধরে ১৪ তরুণের খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা
অবৈধ পথে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৪ তরুণ। কিন্তু দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর পাঁচ মাস ধরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনদের দাবি, দালালের প্রলোভনে পড়ে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
ইউরোপের কোনো দেশে গেলে সচ্ছলতা আসবে, এমন ধারণা নিয়ে প্রতিবছর মাদারীপুর থেকে শত শত তরুণ সেখানে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। তবে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। কেউবা দালালের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাটাচ্ছেন বন্দিজীবন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত জেলার ৪৫ জন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছেন অন্তত ৩৫০ তরুণ। নিখোঁজ আছেন তিন শতাধিক।
সবশেষ নিখোঁজ তরুণদের সবার বাড়ি রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়নে। তাঁরা হলেন পাখুল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর ব্যাপারীর ছেলে সালমান ব্যাপারী, চৌরাশী গ্রামের মোসলেম শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার, একই গ্রামের মজিবর বয়াতীর ছেলে সাজ্জাদ বয়াতী, জাকির মাতুব্বরের ছেলে বাদল মাতুব্বর, কানাই রায়ের ছেলে লিটন রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈর ছেলে বাঁধন বাড়ৈ, কিসমদ্দি বাজিতপুর গ্রামের আলম চৌকিদারের ছেলে ইমন চৌকিদার, অহিদুল মাতুব্বরের ছেলে নয়ন মাতুব্বর, আজিজ খালাসির ছেলে খলিল খালাসি, সোনা মিয়া চৌকিদারের ছেলে সোহেল চৌকিদার, নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ বাড়ৈর ছেলে গৌতম বাড়ৈ, একই গ্রামের সামচু সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, শ্রীনাথদী বাজিতপুরের জলিল বয়াতীর ছেলে আল আমিন বয়াতি ও শ্রীনদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ঘরামির ছেলে আলী ঘরামি। তাঁদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
স্বজনদের অভিযোগ, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বাজিতপুর এলাকার বাবুল হাওলাদার ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেক পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে ১৬ লাখ টাকা করে নেন। পরে লিবিয়ায় বন্দী করে আদায় করেন আরও ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এর পর থেকে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মাদারীপুরের ১৪ তরুণ ইতালি যেতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দালালের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। নিখোঁজ তরুণদের সন্ধানে তাদের ছবি হাতে স্বজনেরা