বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিজানের সহযোগীসহ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আরিফুর রহমান সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে জানান, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনার সময় গোপন সংবাদে তথ্য আসে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওয়াজেদিয়া এলাকায় একদল সন্ত্রাসী ও ডাকাত অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে  ওয়াজেদিয়া মাদ্রাসার পাশে পরিত্যক্ত একটি ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া সময় একাধিক মামলার পলাতক আসামি মিজানের সহযোগী মোহাম্মদ মিল্লাত, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ফাহিম ও মো.

রুবেলকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৯ রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১টি হাসুয়া, ১টি ছুরি, ২টি কেচি, ৫টি মোবাইল, ১টি পাওয়ার ব্যাংক, ১১০ পিস ইয়াবা ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও জায়গা দখল সংক্রান্ত আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য ঘটনাস্থলে সমবেত হয়েছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম/রেজাউল/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ