ফতুল্লায় একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের নূরবাগ পুরান সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাশেদ আহম্মেদ হৃদয় ও রহিম আহম্মেদ সাগর আদর্শনগর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুতুবপুরের অপর এক সন্ত্রাসী বাহিনী লিখনের সাথে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় সাগর-হৃদয় গ্রুপের। এই দ্বন্দ্বের জেরেই সোমবার দলবল নিয়ে অস্ত্রসহ লিখন বাহিনীর উপর হামলা করতে আসে হৃদয়-সাগর। এ সময় লিখন বাহিনী তাদের অস্ত্রসহ আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক আল মেহেদী জানান, সাগর ও হৃদয়ের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বালুর ব্যবসার আড়ালের মাদক, অস্ত্রের ব্যবসা করতো। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেছিল। 

তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে ছিল তারা দুজন। আজ এলাকাবাসী তাদের আটক করে আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি। 

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ৬২ এম এম বোরের বিদেশী পিস্তল, দু’রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ