ফতুল্লায় বিদেশী পিস্তল-গুলিসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার
Published: 3rd, March 2025 GMT
ফতুল্লায় একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের নূরবাগ পুরান সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাশেদ আহম্মেদ হৃদয় ও রহিম আহম্মেদ সাগর আদর্শনগর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুতুবপুরের অপর এক সন্ত্রাসী বাহিনী লিখনের সাথে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় সাগর-হৃদয় গ্রুপের। এই দ্বন্দ্বের জেরেই সোমবার দলবল নিয়ে অস্ত্রসহ লিখন বাহিনীর উপর হামলা করতে আসে হৃদয়-সাগর। এ সময় লিখন বাহিনী তাদের অস্ত্রসহ আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক আল মেহেদী জানান, সাগর ও হৃদয়ের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বালুর ব্যবসার আড়ালের মাদক, অস্ত্রের ব্যবসা করতো। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেছিল।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আত্মগোপনে ছিল তারা দুজন। আজ এলাকাবাসী তাদের আটক করে আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ৬২ এম এম বোরের বিদেশী পিস্তল, দু’রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।