বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িতে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দিয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ভূঁইয়ার দিঘি নামের স্থানে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অক্ষত আছেন বিএনপি নেতা ফারুক।

জয়নুল আবেদিন ফারুক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সাহ্‌রি খেয়ে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি সেনবাগের ইয়ারপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি চলছিল। এরই মধ্যে একটি দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যান হঠাৎ তাঁর গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁর গাড়িটি ডান পাশের পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জয়নুল আবেদিন ফারুক জানান, দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেলেও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা রাস্তায় এমন দুর্ঘটনায় তিনিও হতচকিত হয়ে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্ঘটনার পর পরই আশপাশের লোকজন কাভার্ড ভ্যানটি আটক করেছে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িকে কাভার্ড ভ্যান চাপা দেওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কাভার্ড ভ্যানটি স্থানীয় লোকজন আটক করে। পরে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় সেটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ব এনপ জয়ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ