গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন
Published: 3rd, March 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িতে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দিয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ভূঁইয়ার দিঘি নামের স্থানে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে অক্ষত আছেন বিএনপি নেতা ফারুক।
জয়নুল আবেদিন ফারুক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সাহ্রি খেয়ে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি সেনবাগের ইয়ারপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে তাঁকে বহনকারী গাড়িটি চলছিল। এরই মধ্যে একটি দ্রুতগতির কাভার্ড ভ্যান হঠাৎ তাঁর গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁর গাড়িটি ডান পাশের পেছনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জয়নুল আবেদিন ফারুক জানান, দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেলেও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা রাস্তায় এমন দুর্ঘটনায় তিনিও হতচকিত হয়ে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্ঘটনার পর পরই আশপাশের লোকজন কাভার্ড ভ্যানটি আটক করেছে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িকে কাভার্ড ভ্যান চাপা দেওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টহলে থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কাভার্ড ভ্যানটি স্থানীয় লোকজন আটক করে। পরে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় সেটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ব এনপ জয়ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।