খালেদ মাহমুদ সুজন পরিচালক থাকাকালীন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অধীনেই যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
দেশের ক্ষমতার পরিবর্তনের পর খালেদ মাহমুদকে ছাড়তে হয় বিসিবির পদ। তার বিভাগটিও শূন্য হয়ে পড়েছিল। সেই বিভাগের দায়িত্বে বিসিবি এবার যুক্ত করতে যাচ্ছে হাবিবুল বাশার সুমনকে। নারী ক্রিকেট বিভাগে এক বছর কাজ করার পর এবার গেম ডেভেলপমেন্টে নতুন দায়িত্ব পেলেন হাবিবুল। তবে চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, এই বিভাগের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে হাবিবুলকে যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবারের (৩ মার্চ) বিসিবির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এটি নিশ্চিত করেন বিসিবি পরিচালক প্রধান ইফতেখার রহমান, “হাবিবুল বাশার আগে আমাদের নারী ক্রিকেট দেখতেন। তাকে সরিয়ে গেম ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন সিমন্স-সালাউদ্দিন
বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় হাবিবুলের। পরবর্তীতে তাকে নারী বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করলেও হাবিবুলের ইচ্ছে ছিল আরো বিস্তৃত জায়গায় কাজ করার। তার চাওয়া ফারুক আহমেদের বোর্ড পূরণ করলো।
এই বিভাগের মূল কাজ বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদের পরিচর্যার সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। যুব দলকে নিয়ে হাবিবুলের ক্যানভাসটা অনেক বড়। সামনে তাদের শ্রীলঙ্কা সফর আছে। যুব বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাংলাদেশ জিতলে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা খুব একটা থাকে না। সেখানে গভীরভাবে কাজ করার ইচ্ছা তার।
এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৪ দল খেলছে ইয়ং টাইগার্স ন্যাশনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তরুণ, প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের পথ চলা মসৃণ করতে চান হাবিবুল।
ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।