Risingbd:
2025-11-04@00:01:06 GMT

সুজনের জায়গায় হাবিবুল

Published: 3rd, March 2025 GMT

সুজনের জায়গায় হাবিবুল

খালেদ মাহমুদ সুজন পরিচালক থাকাকালীন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অধীনেই যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। 

দেশের ক্ষমতার পরিবর্তনের পর খালেদ মাহমুদকে ছাড়তে হয় বিসিবির পদ। তার বিভাগটিও শূন্য হয়ে পড়েছিল। সেই বিভাগের দায়িত্বে বিসিবি এবার যুক্ত করতে যাচ্ছে হাবিবুল বাশার সুমনকে। নারী ক্রিকেট বিভাগে এক বছর কাজ করার পর এবার গেম ডেভেলপমেন্টে নতুন দায়িত্ব পেলেন হাবিবুল। তবে চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, এই বিভাগের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে হাবিবুলকে যুক্ত করা হয়েছে। 

সোমবারের (৩ মার্চ) বিসিবির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এটি নিশ্চিত করেন বিসিবি পরিচালক প্রধান ইফতেখার রহমান, “হাবিবুল বাশার আগে আমাদের নারী ক্রিকেট দেখতেন। তাকে সরিয়ে গেম ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি, থাকছেন সিমন্স-সালাউদ্দিন

বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফি

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় হাবিবুলের। পরবর্তীতে তাকে নারী বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করলেও হাবিবুলের ইচ্ছে ছিল আরো বিস্তৃত জায়গায় কাজ করার। তার চাওয়া ফারুক আহমেদের বোর্ড পূরণ করলো। 

এই বিভাগের মূল কাজ বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেটারদের পরিচর্যার সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। যুব দলকে নিয়ে হাবিবুলের ক্যানভাসটা অনেক বড়। সামনে তাদের শ্রীলঙ্কা সফর আছে। যুব বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাংলাদেশ জিতলে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা খুব একটা থাকে না। সেখানে গভীরভাবে কাজ করার ইচ্ছা তার। 

এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৪ দল খেলছে ইয়ং টাইগার্স ন্যাশনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তরুণ, প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের পথ চলা মসৃণ করতে চান হাবিবুল। 

ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ