ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ভাটারা থানার এএসআই মেজবাহ উদ্দিন। ২৬ বছরের চাকরি জীবনে কুখ্যাত খুনি, চিহ্নিত মাদক কারবারিসহ অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছেন তিনি। সাহসিকতার জন্য এসপিদের কাছ থেকে ৬২ বার পুরস্কৃত হয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর সাফল্যের পালকে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)। ২০২৫ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এএসআই মেজবাহকে এ পদক দেওয়া হয়। গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মেজবাহ উদ্দিন জানান, সাহসিকতার জন্য এর আগেও তিনি এসপিদের কাছে পুরস্কৃত হয়েছেন।  তবে এবারের কাজের অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে ভিন্ন। দায়িত্ববোধ থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্প্রতি চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ মোবারক হোসেন নাফিজের পিছু নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। নাফিজ ভাটারা থানার একটি ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। মূলত এ কাজের জন্যই তাঁকে বিপিএম দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ভাটারার জে-ব্লক এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাফিজকে গ্রেপ্তার করেছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। পদক পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেজবাহ বলেন, ‘এটা আমার একার অর্জন না। ডিসি স্যার থেকে শুরু করে থানার ওসি পর্যন্ত সবার অর্জন এটা। স্যারদের উৎসাহে এমন কাজ করার সাহস পেয়েছি। সোমবার বেলা ৩টায় বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার থানার গ্রুপে পদকের কাগজ দিলে থানার অফিসার থেকে শুরু করে সবাই অভিনন্দন জানিয়েছে। আমার জন্য বাহিনী গর্বিত। বাকি চাকরি জীবন এভাবেই অপরাধীদের আতঙ্ক এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
একটি সূত্র জানায়, এখন থেকে পুলিশ সদস্যদের সাহসিকতা ও ভালো কাজের জন্য সারা বছর বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হবে। 
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এএসআই মেজবাহর সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুলিশ সদরদপ্তরের সুপারিশে তাঁকে বিপিএম পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী ওই সময়ই মেজবাহ অন্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় উল্লেখ করে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বন র জন য ব প এম

এছাড়াও পড়ুন:

শাহিনকে খুঁজছে পরিবার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গরুড়া ঘাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহিন রেজা (৩৯) ২৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ। এ বিষয়ে ২৭ জুলাই দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শাহিনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। জিডি নম্বর ১৪৪০।

জিডিতে ফিরোজা বলেন, তাঁর স্বামী ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান আলগামনের চালক। ঘটনার দিন বেলা দুইটার দিকে তিনি গাড়ির চাকা কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় শাহিনের পরনে ছিল সাদা-কমলা রঙের চেক চেক গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। শাহিনের গায়ের রং ফরসা, মুখমণ্ডল গোলাকার, উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। কেউ শাহিনের খোঁজ পেয়ে থাকলে কাছের থানায় জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ