গানে গানে মমতাজ বেগমের জীবন চার দশকের বেশি সময়ের। লোকগানে তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতেও সক্রিয়। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হয়ে প্রথম জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব শুরু তাঁর। এরপর সরাসরি নির্বাচনেও লড়েছেন, বিজয়ী হয়ে সংসদে গেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কোনো খোঁজখবর নেই। সাত মাস ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপ মমতাজ বেগমের বাড়ি। গত বছর এমন সময়েও বাড়িটি মানুষের আনাগোনায় মুখর ছিল। কিন্তু এখন সেই বাড়ির পরিবেশ একেবারে নীরব।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়ির নিরাপত্তাপ্রহরীও জানেন না মমতাজ এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন। আশপাশের বাড়ির লোকজন যাঁরা একসময় মমতাজকে বাড়িতে ঢুকতে ও বের হতে দেখতেন, তাঁদের মতেও অনেক দিন দেখেন না মমতাজ বেগমের ব্যবহৃত গাড়িও। বাড়িতে গেলে তিনি আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষদের নিয়ে মেতে থাকতেন। সেই আত্মীয়রাও মমতাজের কোনো খোঁজখবর জানেন না।
মঞ্চে মমতাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন