গানে গানে মমতাজ বেগমের জীবন চার দশকের বেশি সময়ের। লোকগানে তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতেও সক্রিয়। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হয়ে প্রথম জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব শুরু তাঁর। এরপর সরাসরি নির্বাচনেও লড়েছেন, বিজয়ী হয়ে সংসদে গেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কোনো খোঁজখবর নেই। সাত মাস ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপ মমতাজ বেগমের বাড়ি। গত বছর এমন সময়েও বাড়িটি মানুষের আনাগোনায় মুখর ছিল। কিন্তু এখন সেই বাড়ির পরিবেশ একেবারে নীরব।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়ির নিরাপত্তাপ্রহরীও জানেন না মমতাজ এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন। আশপাশের বাড়ির লোকজন যাঁরা একসময় মমতাজকে বাড়িতে ঢুকতে ও বের হতে দেখতেন, তাঁদের মতেও অনেক দিন দেখেন না মমতাজ বেগমের ব্যবহৃত গাড়িও। বাড়িতে গেলে তিনি আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষদের নিয়ে মেতে থাকতেন। সেই আত্মীয়রাও মমতাজের কোনো খোঁজখবর জানেন না।
মঞ্চে মমতাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’