গানে গানে মমতাজ বেগমের জীবন চার দশকের বেশি সময়ের। লোকগানে তিনি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী বেশ কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতেও সক্রিয়। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হয়ে প্রথম জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব শুরু তাঁর। এরপর সরাসরি নির্বাচনেও লড়েছেন, বিজয়ী হয়ে সংসদে গেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের কোনো খোঁজখবর নেই। সাত মাস ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জয়মণ্ডপ মমতাজ বেগমের বাড়ি। গত বছর এমন সময়েও বাড়িটি মানুষের আনাগোনায় মুখর ছিল। কিন্তু এখন সেই বাড়ির পরিবেশ একেবারে নীরব।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়ির নিরাপত্তাপ্রহরীও জানেন না মমতাজ এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন। আশপাশের বাড়ির লোকজন যাঁরা একসময় মমতাজকে বাড়িতে ঢুকতে ও বের হতে দেখতেন, তাঁদের মতেও অনেক দিন দেখেন না মমতাজ বেগমের ব্যবহৃত গাড়িও। বাড়িতে গেলে তিনি আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষদের নিয়ে মেতে থাকতেন। সেই আত্মীয়রাও মমতাজের কোনো খোঁজখবর জানেন না।

মঞ্চে মমতাজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত না খাওয়ার পণ করা নাজিমউদ্দিন অসুস্থ, নেওয়া হলো ঢাকায়

১১ বছর ধরে দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে ভাত খাননি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশগাড়িয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী নাজামুদ্দিন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঝিনাইদহ থেকে মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ খবর জানতে পেরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দল অসুস্থ নাজিমউদ্দিনের খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।  উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিনকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নাজিমুদ্দিনকে দেখতে যান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ড্যাবের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নাজিমুদ্দিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিনকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দুপুর দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলটি। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী জুলেখা বেগম ও ছেলে শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিতরণের জন্য রান্না করা খিচুড়ি নষ্ট করে দেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী। সেদিন থেকেই নাজিমুদ্দিন প্রতিজ্ঞা করেন, বিএনপি যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসবে ততদিন তিনি ভাত খাবেন না। এরপর থেকে গত ১১ বছর ভাত ছাড়াই শুকনো খাবার রুটি-বিস্কুট খেয়েই চলছে তার জীবন। দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা, আর নিয়মিত ধূমপান করায় শারীরিক অবস্থা ভালো নেই নিজাম উদ্দিনের। 

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। ঢাকার পিজি হাসপাতালের (বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মেডিসিন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। নাজিমুদ্দিনের সম্ভবত আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে পরীক্ষা করে বোঝা যাবে, তার শারীরিক অবস্থা কেমন আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাব না’ বলা সেই নাজিমউদ্দিন অসুস্থ, নেওয়া হলো ঢাকায়
  • বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত না খাওয়ার পণ করা নাজিমউদ্দিন অসুস্থ, নেওয়া হলো ঢাকায়