ফায়ারফক্স ব্রাউজার ব্যবহারের শর্তাবলি হঠাৎ পরিবর্তন করল মজিলা, কেন
Published: 4th, March 2025 GMT
গত সপ্তাহে নিজেদের তৈরি ফায়ারফক্স ব্রাউজার ব্যবহারের শর্তাবলি হালনাগাদ করেছে মজিলা। নতুন শর্তাবলির একটি অংশে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীরা ফায়ারফক্সের মাধ্যমে কোনো তথ্য অনলাইনে আপলোড করলেই সেটি ব্যবহারের জন্য মেধাস্বত্বহীন বৈশ্বিক লাইসেন্স দিয়ে থাকেন, যা ব্যবহারকারীদের অনলাইন অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সহায়তা করে। তবে এই শর্ত নিয়ে শুরু থেকেই ব্যবহারকারীদের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ব্যবহারকারীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে শর্তটি পরিবর্তন করেছে মজিলা।
ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, গত সপ্তাহে প্রকাশিত নতুন শর্তাবলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্যের মালিকানা সংগ্রহ করছে মজিলা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর অবশেষে বিতর্কিত শর্তটি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ফায়ারফক্স ব্রাউজারের সংশোধিত শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীরা ফায়ারফক্সের মাধ্যমে কোনো তথ্য অনলাইনে আপলোড করলেই সেটি ব্যবহারের জন্য মেধাস্বত্বহীন বৈশ্বিক লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। তবে, এটি মজিলাকে ওই তথ্যের ওপর কোনো মালিকানা দেবে না।
এক ব্লগ বার্তায় মজিলা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে লাইসেন্স–সংক্রান্ত ধারাগুলো। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, ফায়ারফক্স কীভাবে কাজ করে, তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা। তবে এতে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাই আমরা শর্তাবলিতে পরিবর্তন এনেছি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’