কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার সদস্যপদ বাতিলসহ সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁদের জায়গায় অন্য দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক জরুরি সভা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও নীতিবহির্ভূত কাজে যুক্ত থাকায় এবং জনসাধারণের অনাস্থার কারণে আশিক খান ও আসাদুজ্জামানকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সংগঠক আশিক খান ও কুমারখালী উপজেলা শাখা কমিটির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান খান আলী। আশিক খানের পদের স্থলে আমির হামজাকে সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমির হামজা সংগঠনটির সদস্য ছিলেন। আর আসাদুজ্জামানের স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আতিকুজ্জামান তালহা নামের একজনকে।

মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ বলেন, আশিক ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছিল, তা খুবই দুঃখজনক। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সত্যতা পাওয়ায় কেন্দ্রে কথা বলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ