অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে (এডব্লিউএফ) দুই সপ্তাহব্যাপী ঈদ হস্তশিল্প মেলা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মেলায় প্রায় ১৫০ জন অটিস্টিক শিশু ও কিশোর অংশ নেয়।

ফাউন্ডেশনের বিশেষায়িত স্কুল কানন কেরাণীগঞ্জের বসিলায় অবস্থিত এডব্লিউএফের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বার্ষিক মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

মেলার উদ্বোধন করেন রানার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এবং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান খান। রানার গ্রুপ অব কোম্পানিজের গ্রুপ ডিরেক্টর রুদাবা তাজিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন এবং প্রধান উপদেষ্টা ডা.

রওনাক হাফিজ, চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. শারমিন ইয়াসমিন, ভাইস চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্থপতি আনিকা তাবাসসুম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবরিনা ইশরাত মেলার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং এই বিশেষ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য আরো যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের পরামর্শ দেন। তারা এই বিশেষ শিশুদের প্রতিভার প্রশংসা করতে সবাইকে মেলায় আসার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অটিস্টিক শিশুদের তৈরি ও রঙ করা চিত্রকর্ম, হস্তনির্মিত শোপিস, জাতিগত পোশাক, ঈদ শুভেচ্ছা কার্ড, গৃহস্থালির জিনিসপত্র, গয়না এবং অন্যান্য সাজসজ্জার সামগ্রীসহ বেশকিছু হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়েছিল।

অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ২০০৪ সাল থেকে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষামূলক কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত। ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হতে শেখে।

ঢাকা/সুমন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ