ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে ৮০০ বিলিয়ন ইউরো খরচের পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন ডের লেইন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমন সময় ইউরোপীয় কমিশন তার অঞ্চলের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে যখন ইউক্রেনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

ব্রাসেলসে ‘রিআর্ম ইউরোপ’ প্যাকেজ উপস্থাপন করে ভন ডের লেইন বলেছেন, “এটি ইউরোপের জন্য একটি মুহূর্ত এবং আমরা এগিয়ে আসতে প্রস্তুত।”

তিনি বলেন,  প্রস্তাব অনুযায়ী কমিশন  “নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ইউরোপের জন্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ইউরো প্রতিরক্ষা ব্যয় সংগ্রহ করতে পারে।”

ইইউ নেতাদের উদ্দেশ্যে লেইন লিখেছেন, “একটি নতুন যুগ আমাদের সামনে। ইউরোপ এমন এক স্পষ্ট ও নতুন বিপদের মুখোমুখি যা আমাদের কেউই আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে দেখেনি .

.. আমরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপজ্জনক সময়ে বাস করছি।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউর প র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ