‘যেখানে জীবনের চাওয়া–পাওয়াই মুখ্য’
Published: 4th, March 2025 GMT
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ব্যান্ডদল কুহক-এর নতুন গান ‘জলপরী শ্লোক’। গানটি মূলত আধ্যাত্মিক ও জীবনদর্শনমূলক। গানের কথা, সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন ইমন। তিনি জানান, মানুষ সারা জীবন যা খুঁজে বেড়ায়, সেটাই এই গানের মধ্যে উঠে এসেছে। রূপক অর্থে গানে মানুষের জীবনের অপ্রাপ্তির কথা বলা হয়েছে। গানটি প্রথম দুই লাইন এমন, ‘ঝিঁঝি টানা গান গায়, কাঁদে নার্সিসাস, বুকে নীল পাখি হায়, থাকে না আকাশ।’
সংগীতশিল্পী ইমন বলেন, ‘মানুষ সব সময়ই কোনো কিছুর খোঁজে থাকে। যেমন আমাদের জীবনের সেরা সময়, শৈশব। সেখানে আমরা এখনো ফিরে যেতে চাই। শৈশবকে খুঁজে পাই না পাই, স্মৃতির প্রতি একটা মায়া থেকেই যায়। গানের কথায় জীবনের তেমন ঘটনাগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে। যেখানে জীবনের চাওয়া–পাওয়াই মুখ্য।’
গানের পোস্টার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।