বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমঝোতা স্মারক নবায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিস্তা নিয়ে চীন চুক্তি চায়– এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নদী নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি সার্বিক সমঝোতা রয়েছে। এ সমঝোতা নবায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আরও কিছু সংযোজনের জন্য দুই পক্ষের চাহিদা আছে। এ কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। যখন চীন সফরে গিয়েছিলাম, তখনই এটি নবায়ন হওয়ার কথা ছিল। এখন সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে। এ সমঝোতার আওতায় এখন প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমঝোতা স্মারক ২০১৬ সালে ঢাকায় চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে সই হয়। তিন বছর পরপর এটি নবায়ন করে আসছে দুই দেশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি করা ২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ অনুসন্ধান করে দেখার চেষ্টা করেছে বিষয়টি কী, দুই ব্যক্তি-সংক্রান্ত কিছু রয়েছে কিনা। খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, মার্কিন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে কার্যক্রম চালায়। অর্থ নিয়ম অনুযায়ী এসেছে।’ এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে না বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে কিনা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যকে উস্কানিমূলক বলে মনে করি না। এর পরে এ নিয়ে বাড়াবাড়ির কোনো প্রয়োজন দেখি না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট পরর ষ ট র সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ