কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 5th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ায় এক রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ নুর (২৮)। তিনি উখিয়ার তানজিমার খোলা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-২০) হেড মাঝির (নেতা) দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই আশ্রয়শিবিরের এম-৩২ ব্লকের একটি মসজিদ থেকে তারাবিহ নামাজ পড়ে ফেরার পথে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা।
নিহত মোহাম্মদ নুরের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের সিকদারপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম আবু সৈয়দ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে তাঁর পরিবার। এর পর থেকে ক্যাম্প-২০-এ বসবাস করে আসছেন।
আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মো.
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, নিহত নুর বছরখানেক আগেও মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আরসা ছেড়ে পরে তিনি মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন। এ কারণে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
রোহিঙ্গা নেতাদের বরাতে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা মোহাম্মদ নুরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত নুর ২০ নম্বর ক্যাম্পে হেড মাঝির দায়িত্বে ছিলেন। তারাবিহ নামাজ শেষ করে বাড়িতে যাওয়ার পথে ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নুরের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ
ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।
বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।
পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’