বেতন ছিল ৭৫ টাকা, এখন ৯৯টি বাড়ির মালিক মিকা সিং!
Published: 5th, March 2025 GMT
ভারতীয় গায়ক মিকা সিং। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মিকা দাবি করেছেন, তার মালিকানাধীন মোট বাড়ির সংখ্যা ৯৯টি! সাক্ষাৎকারে মিকা জানিয়েছেন, তিনি রিয়্যাল এস্টেটে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। তবে শুরুতে তার কোনও ধারণা ছিল না যে, কোনওদিন এমন বিপুল সংখ্যক বাড়ির মালিক হবেন।
মিকা বলেন, ‘আশা করি সংখ্যাটা কোনওদিন ১০০ পেরিয়ে যাবে। যখন শুরু করি, তখন আমার বেতন ছিল ৭৫ টাকা! তখন খুব বেশি কিছু ভাবিনি। কারণ সেই সময় ওই টাকাটাই আমার কাছে অমূল্য ছিল।’
এই গায়ক জানান, কঠিন দিনগুলো পেরিয়ে ২০১২ সালে তিনি প্রথম একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। মিকার কথায়, ‘এখনও ওই বাড়িটা আমার এতটাই পছন্দের যে, সেখানে আমি মোট ৬টি ফ্ল্যাট কিনেছি।’
মিকা অর্থের গুরুত্ব জানেন। তাই বিনিয়োগের জন্য তিনি বাড়িকেই বেছে নিয়েছেন। গায়কের কথায়, ‘কেউ সোনা, চশমা এমনকি জুতা কিনে টাকা খরচ করেন। আমার একটা ১০০ একরের জমি রয়েছে।’
তবে এই জমি থেকে যে প্রায় দেড়শোটি পরিবারের উপার্জন হয়, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন মিকা।
উল্লেখ্য, শিল্পীর ৯৯তম বাড়িটির অন্দরসজ্জা করেছেন শাহরুখ খানের ঘরনি গৌরী খান। তার প্রতিষ্ঠানকেই প্রতিটি বাড়ির সাজসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানান গায়ক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।