ভারতীয় গায়ক মিকা সিং। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মিকা দাবি করেছেন, তার মালিকানাধীন মোট বাড়ির সংখ্যা ৯৯টি! সাক্ষাৎকারে মিকা জানিয়েছেন, তিনি রিয়্যাল এস্টেটে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। তবে শুরুতে তার কোনও ধারণা ছিল না যে, কোনওদিন এমন বিপুল সংখ্যক বাড়ির মালিক হবেন। 

মিকা বলেন, ‘আশা করি সংখ্যাটা কোনওদিন ১০০ পেরিয়ে যাবে। যখন শুরু করি, তখন আমার বেতন ছিল ৭৫ টাকা! তখন খুব বেশি কিছু ভাবিনি। কারণ সেই সময় ওই টাকাটাই আমার কাছে অমূল্য ছিল।’

এই গায়ক জানান, কঠিন দিনগুলো পেরিয়ে ২০১২ সালে তিনি প্রথম একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।  মিকার কথায়, ‘এখনও ওই বাড়িটা আমার এতটাই পছন্দের যে, সেখানে আমি মোট ৬টি ফ্ল্যাট কিনেছি।’ 

মিকা অর্থের গুরুত্ব জানেন। তাই বিনিয়োগের জন্য তিনি বাড়িকেই বেছে নিয়েছেন। গায়কের কথায়, ‘কেউ সোনা, চশমা এমনকি জুতা কিনে টাকা খরচ করেন। আমার একটা ১০০ একরের জমি রয়েছে।’ 

তবে এই জমি থেকে যে প্রায় দেড়শোটি পরিবারের উপার্জন হয়, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন মিকা। 

উল্লেখ্য, শিল্পীর ৯৯তম বাড়িটির অন্দরসজ্জা করেছেন শাহরুখ খানের ঘরনি গৌরী খান। তার প্রতিষ্ঠানকেই প্রতিটি বাড়ির সাজসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানান গায়ক। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ