বসুন্ধরায় ইরানের দুই নাগরিকের ওপর হামলায় কারা জড়িত
Published: 5th, March 2025 GMT
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে ইরানের দুই নাগরিকসহ তিনজনকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
হামলার ঘটনায় আজ বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করে। মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক।
এ ঘটনায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মব’ সৃষ্টিতে জড়িত মূল ব্যক্তি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঢাকায় ‘মব’ তৈরি করে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর: পুলিশ১৩ ঘণ্টা আগেপুলিশ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইরানের দুই নাগরিক ডলার ভাঙিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি এক ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন করেন। ওই সময় কিছু ডলার কম পেয়েছেন দাবি করে বাংলাদেশি ব্যক্তি ইরানের নাগরিকদের বহনকারী গাড়িতে আঘাত করে ক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হওয়া শুরু করলে ইরানি নাগরিকেরা ভয়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের মারধর করেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মুদ্রা বিনিময় করা বাংলাদেশি ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য জড়িত ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে দুই বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, আহত ইরানের দুই নাগরিক হলেন মোহাম্মদ আহমদ (৭৪) ও তাঁর নাতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’