অবৈধ সম্পদ : স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 5th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং তার স্ত্রী হাসিনা গাজীর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম মামলায় বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নামে ২৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, এবং ৬টি ব্যাংক হিসেবে ২৫৭ কোটি ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। আসামি গাজীর নামে ৪৪৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় ৪২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী। তার বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৫টি ব্যাংক হিসেবে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫১৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের আগস্টে গাজীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রূপগঞ্জ থানায় করা স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”
মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ