বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এইউবি) ৭ম সমাবর্তন গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।

সমাবর্তনে ১৯ কৃতি শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের রাকিবুল ইসলাম ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’, বিবিএ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী কাজী শাহরুখ ওমী ‘ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল’ এবং মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান ‘ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পান।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রান্সিস টি ডেভিস। তিনি তাঁর বক্তব্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের সারা বিশ্বে বিচরণ করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের কথা বলেন।

গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। সমাবর্তনে শুভেচ্ছা পাঠান তুরস্কের আংকারা ইলদ্রিন বেইজিদ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়াসিন আকটে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ‘২৯ বছর আগে দেশ ও জাতির জন্য দক্ষ যোগ্য ও নৈতিক মানে উন্নত গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।’

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ জাফার সাদেক বলেন, ‘আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াই না, তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে খেলাধুলার পাশাপাশি কো কারিকুলার এক্টিভিটিজে গুরুত্ব দিই।’

উপাচার্য ইমিরেটাস অধ্যাপক শাহজাহান খান তাঁর বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের জুলাই বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে আহ্বান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এইউবি সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ইয়াছিন আলী, কোষাক্ষ্যক অধ্যাপক মো.

নূরুল ইসলামসহ এইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সদস্য, আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও গ্র্যাজুয়েটরা।

আরও পড়ুনবিদায় বেলায় বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর জানিয়ে গেলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ৩ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

আলো আর আসবে না, আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত: উজ্জ্বল 

‘আরো দিব রক্ত, করব ফ্যাসিবাদ দোসর মুক্ত/ রক্তের ঋণে স্বাধীনতা, জাগ্রত হোক মানবতা’- এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হলো চলচ্চিত্রের কালো দিবস। 

রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীরা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও গণহত্যার সমর্থনে গত বছরের ২ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে এবং ৩ আগস্ট বিএফডিসিতে তৎকালীন হাসিনা সরকারের ইন্ধনদাতা শিল্পী-কলাকুশলীদের বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবিতে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মানববন্ধন ও চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করেন তারা।

অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, “আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দোসরমুক্ত হয়নি। আজ আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখানে গত বছরের এই দিনে কিছু সুবিধাবাদী, স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল ছাত্র-জনতার বিপক্ষে। তারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্য। তাদের বলতে চাই- আলো আর আসবে না। আলো বন্ধ হয়ে গেছে, তেল শেষ হয়ে গেছে। আপনারা অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর আপনাদের চেহারা দেখা যাবে না।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক আবির চৌধুরী, অভিনেতা মারুফ আকিব, জেবাসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্টদের পক্ষ নেওয়া শিল্পী ও কলাকুশলীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন। অন্যথায় এসব শিল্পী-কলাকুশলী ও ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পী-কলাকুশলীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করার দাবি জানান।

ঢাকা/রাহাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ