এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ৭ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
Published: 5th, March 2025 GMT
বেসরকারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এইউবি) ৭ম সমাবর্তন গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।
সমাবর্তনে ১৯ কৃতি শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের রাকিবুল ইসলাম ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’, বিবিএ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী কাজী শাহরুখ ওমী ‘ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল’ এবং মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান ‘ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পান।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো এবং বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রান্সিস টি ডেভিস। তিনি তাঁর বক্তব্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের সারা বিশ্বে বিচরণ করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের কথা বলেন।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। সমাবর্তনে শুভেচ্ছা পাঠান তুরস্কের আংকারা ইলদ্রিন বেইজিদ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়াসিন আকটে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ‘২৯ বছর আগে দেশ ও জাতির জন্য দক্ষ যোগ্য ও নৈতিক মানে উন্নত গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ জাফার সাদেক বলেন, ‘আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াই না, তাদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে খেলাধুলার পাশাপাশি কো কারিকুলার এক্টিভিটিজে গুরুত্ব দিই।’
উপাচার্য ইমিরেটাস অধ্যাপক শাহজাহান খান তাঁর বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের জুলাই বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে আহ্বান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এইউবি সিন্ডিকেট সদস্য এস এম ইয়াছিন আলী, কোষাক্ষ্যক অধ্যাপক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে