ফরিদপুরে সিকদার লিটন (৪৫) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিকদার লিটন টগরবন্দ ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকা মহানগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেন বলেন, সিকদার লিটন দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে সম্মানী ব্যক্তিদের জিম্মি ও ফেসবুকে দুর্নাম ছড়িয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, সিকদার লিটনকে আলফাডাঙ্গা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আলফাডাঙ্গা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, অসংখ্য মামলার আসামি সিকদার লিটন। তার নামে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি রাজনৈতিক, তিনটি চাঁদাবাজি, দুটি মারামারির মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চারটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, সিকদার লিটন বর্তমানে থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলফ ড ঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ