ইউক্রেনের সাথে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়ার বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করার ব্যাপারে ইউক্রেনের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইউক্রেনের সাথে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তার সবই করবে।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সংবাদমাধ্যমের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এর জেরে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে চলে যেতে বলা হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। এছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়।

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে জেলেনস্কি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসতে ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন।

বুধবার সিআইএ-এর পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ বলেছেন, “আমি মনে করি সামরিক ফ্রন্ট এবং গোয়েন্দা ফ্রন্টে বিরতি (যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্ররোচিত করেছিল) কেটে যাবে। আমি মনে করি আমরা ইউক্রেনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। কারণ আমাদের সেখানে বিদ্যমান আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে হবে। কিন্তু এই শান্তি আলোচনা এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বকে আরো ভালো জায়গায় তৈরি করতে হবে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র স থ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ