Samakal:
2025-08-01@21:56:01 GMT

জিবিএস হলে যা করবেন

Published: 5th, March 2025 GMT

জিবিএস হলে যা করবেন

গুলেইন-বারি সিনড্রোম (জিবিএস) একটি ইমিউন প্রক্রিয়াজাত রোগ, যেখানে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আমাদের গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল ট্রাক্ট বা খাদ্যনালিতে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ হয়।

সাধারণত ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে চার সপ্তাহ পর লক্ষণ প্রকাশ পায়। কখনও সার্জারি বা ভ্যাকসিনেশন থেকেও এ লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। যে কোনো লিঙ্গ বা বয়সেই হতে পারে। তবে নারীর তুলনায় পুরুষের এ সমস্যা একটু বেশি হয়ে থাকে।

লক্ষণ

সমান্তরালভাবে হাত-পায়ের মাংসপেশির দুর্বলতা দেখা যায়।
পায়ের পাতা থেকে ওপরের দিকে হাতের বা মুখমণ্ডলের দিকে শক্তি কমে যায়। পেশিগুলো অবশ হতে থাকে।
কথা বলা বা চিবানোর সমস্যা হওয়া।
লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর দ্রুত বাড়তে থাকে।
পায়ে ব্যথা, প্রস্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
ব্যথা, বিশেষ করে রাতে গুরুতর হতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা, অর্থাৎ বেশি কম হওয়া।
শ্বাস-প্রশ্বাসের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া।
মিলার ফিশার সিনড্রোম: চোখের মাংস বেশি দুর্বল হওয়া, টেন্ডনের রিফ্লেক্স না থাকা, ব্যালান্স সমস্যা ইত্যাদি।

কারণ

ক্যামপাইলোব্যাক্টার জেজুনি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে।
সাইটোমেগালো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে।
এপসটিনবার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে।
মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে।
সার্জারি, ইমিউনাইজেশন, অর্থাৎ ভ্যাকসিন থেকেও হতে পারে।

ডায়াগনসিস

রোগীর থেকে হিস্ট্রি ও রোগের লক্ষণ থেকেই অনেকটা রোগ নির্ণয় করা যায়। এ ছাড়া রক্তের পরীক্ষা, সিএসএফ স্টাডি, স্টুল কালচার এবং সেরোলজিক্যাল টেস্ট, এনসিভি, ইএমজি ইত্যাদি করা হয়। অন্য কোনো রোগ কিনা, সেটি আলাদা করতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হতে পারে।

চিকিৎসা

এ রকম লক্ষণ বা সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাবেন।

ফিজিওথেরাপি

যথাযথ চিকিৎসার পাশাপাশি দরকার প্রথম দিন থেকেই একজন ফিজিওথেরাপিস্ট থেকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ পজিশনিং, কফ জমলে বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে সেগুলো বের করা, ব্রেথিং এক্সারসাইজ করা, স্পাইরোমেট্রি ব্যবহার করা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা, মাংসপেশির শক্তি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শক্তি বাড়ানোর জন্য এক্সারসাইজ করা, ব্যালান্স কো-অর্ডিনেশন ট্রেইনিং দেওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা জিবিএস রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

প্রথম থেকেই নিয়মিত ফিজিওথেরাপি পেলে অধিকাংশ আক্রান্ত রোগীই তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরে পেতে পারবেন এবং রেসপিরেটরি মাংসপেশি প্যারালাইস হয়ে মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পাবে।

লেখক : ফিজিওথেরাপিস্ট, আশা সমন্বিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহিপুর, পটুয়াখালী

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন