প্রকৃতিতে একটু একটু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক পুড়তে শুরু করেছে। কারও কারও সানস্ক্রিন মেখেও অনেক সময় কাজ হয় না। ত্বকের পোড়াভাব দুর করতে ঘরোয়া কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। যেমন-


১. সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস লেবু মেশানো হালকা গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে লিভার ভালো থাকবে। লেবুর রসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আর ভিটামিন সি থাকায় এই পানীয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। 

২.

রোদের তেজ বাড়লে বাইরে ব্যায়াম করতে না পারলে চিন্তার কিছু নেই।  সাধারণ কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। বাড়ির ছাদে জোরকদমে দশ মিনিট হাঁটলেই চলবে। ত্বক ভালো রাখতে হালকা এক্সারসাইজ ভালো কাজ করে। 

৩.ঘুমালে সারা রাত ধরে মুখে তেলময়লা জমতে থাকে। সকালে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এরপর টোনার, ফেস সিরাম এবং ময়শ্চারাইজার মাখন। এতে সারাদিন তরতাজা লাগবে।

৪. এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ ল্যাভেন্ডার অয়েল আর চার ফোঁটা রোজ অয়েল একটা পাত্রে ভালো করে মেশান। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে লাগান। এর পর হাত দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। সকালে উঠে দেখবেন মুখ একেবারে ঝকঝকে হয়ে উঠেছে।

৫. বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে তা থেকে পাতা কেটে নিয়ে সেই জেল ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে একদম স্বচ্ছ অ্যালোভেরা জেলের কৌটো কিনে নিন। কারণ বাজারে আজকাল নানা রাসায়নিক মেশানো অ্যালোভেরা জেল মেলে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ