সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় নতুন চমক তৈরি করেছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেকনো। স্পেনের বার্সেলোনায় চলা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার পুরত্বের টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাতলা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চায় অ্যাপলও। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নতুন এক তথ্যে জানা গেছে, টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনের চেয়েও পাতলা আইফোন আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।

৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চি ওএলইডি পর্দার টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ও আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। পাতলা হলেও শক্তিশালী স্পেসিফিকেশনের কারণে এটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। তবে টেকনো স্পার্ক স্লিম বেশি দিন বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোনের শিরোপা ধরে রাখতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিশ্লেষক মাজিন বু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) আইফোন ১৭ এয়ারের একটি ডামি মডেলের ছবি প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, ফোনটির পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ মিলিমিটার। যদিও এই পরিমাপ ক্যামেরা বাম্প বাদ দিয়ে করা হয়েছে।

আরও পড়ুন৯,৯৯০ টাকায় নতুন স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও আইটেল২৮ জানুয়ারি ২০২৫

জানা গেছে, আইফোন ১৭ এয়ার-এ আকারে বড় সরু একটি মাত্র ক্যামেরা থাকতে পারে। ফোনটির নকশা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তথ্য এই দাবিকে আরও জোরালো করেছে। প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ফোনঅ্যারেনা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন নকশার ক্যামেরার কারণে আইফোন ১৭ এয়ারের সর্বোচ্চ পুরুত্ব ৫ দশমিক ৮৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে ফোনটি স্যামসাংয়ের বাজারে আনতে যাওয়া গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ স্মার্টফোনের পুরুত্বের কাছাকাছি হবে।

আরও পড়ুন এআই প্রযুক্তিনির্ভর গ্যালাক্সি এস২৫ সিরিজের স্মার্টফোন আসছে বাংলাদেশে২৩ জানুয়ারি ২০২৫

স্যামসাং এখনো গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ স্মার্টফোনের চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে, অ্যাপলও আইফোন ১৭ এয়ার সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি। অন্যদিকে টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনটি বিশ্বব্যাপী সীমিত সংস্করণে বাজারজাত করা হবে। শুধু তা–ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে স্মার্টফোনটির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের প্রতিযোগিতায় ফোনটি খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: টেক রাডার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

গোদাগাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৬ জন আহত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে একটি পরিবার। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। এছাড়া তাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে। ধানের পালায় অগ্নিসংযোগ এবং খেতের পেয়ারা বাগান কেটে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পানিপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার (১১ জুন) প্রথমে পেয়ারা বাগানের ৪১টি গাছ কেটে ফেলা হয়। এরপর দিন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহত ছয়জন এখন গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন, চর আষাড়িয়াদহ পানিপার গ্রামের আল্লাম হোসেন, তার ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবু, মেয়ে ফাতেমা বেগম, নাতি জিহাদ (১৪), ইয়াকুব আলী এবং তাদের প্রতিবেশী বকুল ওরফে কান্দু। তাদের মধ্যে আল্লামের পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। ফাতেমার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া তাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ২ পুলিশ আহত

আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫

আহতরা জানান, দিয়াড় মহব্বতপুর গ্রামের জামিলুর রহমানের কাছ থেকে আল্লাম হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে গোলাম মোস্তফা ২০১৬ সালের ১৮ মে  শন্য দশমিক ৪৯৫০ একর ও তার আরেক ছেলে মুরশালীন ইসলাম ২০১৮ সালের ৯ মে শূন্য দশমিক ১১০০ একর জমি কেনেন। এর দলিলও করা হয়। জামিলুর রহমান আরএস রেকর্ডমূলে জমি বিক্রি করেন। পরে বিডিএস রেকর্ডে দলিলের কথা গোপন করে এসব জমি আবার নিজেদের নামে রেকর্ড করা হয়। এরপর থেকে তারা জমিগুলো আবার দখলের চেষ্টা করছিলেন।

তারা আরো জানান, জমি কেনার পর প্রায় পাঁচ বছর আগে সেখানে পেয়ারা বাগান করা হয়। গত ১১ জুন সকালে জামিলুর রহমান ও তার ভাই আদিল হোসেনের নেতৃত্বে তাদের ছেলেরা গিয়ে পেয়ারা বাগানের ৪১টি গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আল্লাম হোসেন গ্রামের লোকজনের কাছে নালিশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন জামিলুর রহমান, তার ভাই আদিল হোসেন এবং তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো হাঁসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, বল্লম ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল্লাম হোসেনের বাড়িতে হামলা চালান। বাড়িটিতে ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ধানের পালায়। দুই দিনের হামলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। 

আহত আল্লাম হোসেন জানান, হামলাকারীরা তার পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। ধানের পালার আগুন নেভাতে গেলে হামলাকারীরা তার নাতি জিহাদকে ধাক্কা দিয়ে আগুনের ভেতর ফেলে দেয়। এতে তার পা পুড়ে যায়। তার আরেক নাতি ইয়াকুবকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাদের বাঁচাতে গেলে মেয়ে ফাতেমার গলায় হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়। ছেলে গোলাম মোস্তফা বাবুকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে প্রতিবেশী বকুলকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।

ভুক্তভোগী আল্লাম আরো জানান, হামলাকারীরা তাদের আহত অবস্থায় ফেলে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা এখনো তাদের বাড়ি ঘিরে রেখেছেন। জমির দাবি করলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। হাসপাতাল থেকে তাদের ছুটি দেয়া হলে এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জামিলুর রহমানকে কয়েকদফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, ঘটনা তিনি শুনেছেন। আহতরা থানায় অভিযোগ করতে চেয়েছেন। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ