পাতলা স্মার্টফোন তৈরির দৌড়ে অ্যাপল ও স্যামসাংকে পেছনে ফেলল যে প্রতিষ্ঠান
Published: 6th, March 2025 GMT
সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় নতুন চমক তৈরি করেছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেকনো। স্পেনের বার্সেলোনায় চলা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার পুরত্বের টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাতলা স্মার্টফোন তৈরির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে চায় অ্যাপলও। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নতুন এক তথ্যে জানা গেছে, টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনের চেয়েও পাতলা আইফোন আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।
৬ দশমিক ৭৮ ইঞ্চি ওএলইডি পর্দার টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রধান ও আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। পাতলা হলেও শক্তিশালী স্পেসিফিকেশনের কারণে এটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। তবে টেকনো স্পার্ক স্লিম বেশি দিন বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোনের শিরোপা ধরে রাখতে পারবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনপ্রিয় প্রযুক্তি বিশ্লেষক মাজিন বু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) আইফোন ১৭ এয়ারের একটি ডামি মডেলের ছবি প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, ফোনটির পুরুত্ব মাত্র ৫ দশমিক ৪৪ মিলিমিটার। যদিও এই পরিমাপ ক্যামেরা বাম্প বাদ দিয়ে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন৯,৯৯০ টাকায় নতুন স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও আইটেল২৮ জানুয়ারি ২০২৫জানা গেছে, আইফোন ১৭ এয়ার-এ আকারে বড় সরু একটি মাত্র ক্যামেরা থাকতে পারে। ফোনটির নকশা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তথ্য এই দাবিকে আরও জোরালো করেছে। প্রযুক্তি ওয়েবসাইট ফোনঅ্যারেনা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন নকশার ক্যামেরার কারণে আইফোন ১৭ এয়ারের সর্বোচ্চ পুরুত্ব ৫ দশমিক ৮৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফলে ফোনটি স্যামসাংয়ের বাজারে আনতে যাওয়া গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ স্মার্টফোনের পুরুত্বের কাছাকাছি হবে।
আরও পড়ুন এআই প্রযুক্তিনির্ভর গ্যালাক্সি এস২৫ সিরিজের স্মার্টফোন আসছে বাংলাদেশে২৩ জানুয়ারি ২০২৫স্যামসাং এখনো গ্যালাক্সি এস ২৫ এজ স্মার্টফোনের চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে, অ্যাপলও আইফোন ১৭ এয়ার সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি। অন্যদিকে টেকনো স্পার্ক স্লিম স্মার্টফোনটি বিশ্বব্যাপী সীমিত সংস্করণে বাজারজাত করা হবে। শুধু তা–ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে স্মার্টফোনটির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের প্রতিযোগিতায় ফোনটি খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: টেক রাডার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?