প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক সেবা দেবে পেট্রোকেম ও ব্র্যাক ব্যাংক
Published: 6th, March 2025 GMT
দেশের প্রান্তিক কৃষকদের বহুমুখী আর্থিক সেবা দিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাগ্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই যৌথ উদ্যোগের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন রকম আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা হবে, যা কৃষিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত এসএমই ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এবং পেট্রোকেমের ইনপুট রিটেইলারদের সহযোগিতায় কৃষকেরা ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ নিতে পারবেন। ফলে, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত হবে, যা কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ের উন্নয়নে অবদান রাখবে।
ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং পেট্রোকেমের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ সারথি রায় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, কৃষকদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করে সাফল্যে অর্জনে ভূমিকা রাখা। আমাদের ব্যাংকিং সেবা এবং পেট্রোকেমের কৃষি-দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা কৃষকদের জন্য ফলপ্রসূ কিছু করতে চাই। আমরা বাংলাদেশের কৃষি খাতের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ও টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চাই।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোকেমের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার সাহা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এসএমই স্ট্র্যাটেজি, ইনোভেশন অ্যান্ড নিউ বিজনেস মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম এবং হেড অব এমএফআই অ্যান্ড এগ্রিকালচার ফাইন্যান্স তাপস কুমার রায়। তারা বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এই উদ্যোগের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষতা এবং কৃষি খাতে পেট্রোকেমের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সম্পদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখা এই যৌথ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ব্যাংক বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক। ব্যাংকটি—১৮৭টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালনা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে লেনদেন করছে। প্রায় ১৮ লাখেরও বেশি গ্রাহককে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এই ব্যাংক।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ন ত ক ক ষকদ র আর থ ক স
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুতে ঈদের ছুটির শেষ ৪৮ ঘণ্টায় ৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের ছুটি শেষে গত দুই দিনে সড়কে কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বেড়ে যায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপারও। বেড়েছে টোল আদায়ও। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৭৭টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
যমুনা সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৬৬টি যানবাহন রয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী ৩৩ হাজার ৩২৯টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৫০ টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন পার হয়। এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩০০ টাকা। অপর দিকে ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ৩০ হাজার ৮১৭টি। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন পারাপার হয়। এবার ঈদের ছুটির শুরুতে এবং শেষে যানবাহন পারাপার কয়েক গুণ বেড়ে যায়।