ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তান যদি তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর (পিওকে) খালি করে দেয়, তবে কাশ্মীর ইস্যু পুরোপুরি সমাধান হয়ে যাবে। যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে বুধবার ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

কাশ্মীর ইস্যুতে একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে এ বক্তব্য দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রশ্নটি ছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর ইস্যু ‘সমাধান’ করতে পারেন?

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি। এরপর কাশ্মীরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি কাশ্মীরের চুরি হওয়া অংশটি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে যা পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে। যখন তা হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হয়ে যাবে। খবর-বিবিসি
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ