এই মুহূর্তে বাবর আজমের পাশে কে আছেন? কথা যেহেতু পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে হচ্ছে, খারাপ সময়ে খুব বেশি মানুষকে বাবর পাশে পাবেন না। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা যে অন্যের সমালোচনার জন্য ‘বিখ্যাত’! এই সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য নয় তাঁদের।

খারাপ সময়ে বাবর পাশে পেয়েছেন শুধু তাঁর বাবাকেই। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ার পর বাবরের বাবা আজম সিদ্দিকই আবার বাবরের হয়ে ব্যাট ধরলেন। বাবরের সমালোচনা করা সাবেক ক্রিকেটারদের সতর্ক করেও দিয়েছেন তিনি।

বাবর টি-টোয়েন্টি দল থেকে কেন বাদ পড়েছেন? এই বাবর গত বছরের আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও ছিলেন। ২৪ ম্যাচে রান করেছিলেন ৭৩৮, সেটিও ১৩৩.

২১ স্ট্রাইক রেটে। পাকিস্তানের হয়ে গত বছর সর্বোচ্চ রান এই বাবরের ব্যাট থেকেই এসেছে। এরপরও তাঁকে টি-টোয়েন্টির নতুন শুরুর পথে বাধা মনে করছেন নির্বাচকেরা। সে কারণেই তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আমি সব সম্মানিত ও কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে অনুরোধ করছি, কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। যদি কেউ জবাব দেয়, তাহলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না।বাবর আজমের বাবা

দল থেকে বাদ পড়েছেন, সঙ্গে নিয়মিত সাবেকদের কড়া কথার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাবর ব্যর্থ হয়েছেন, এটা ঠিক। তবে ব্যর্থতা তাঁর একার ছিল না। এই দলে থাকা বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তো পারফর্ম করতে পারেননি। সে কারণেই তো দল হিসেবে জয়হীন থেকে সবার আগে বাদ পড়েছে দলটি। তবে সব সমালোচনা যে শুনতে হয় বাবরকেই, যা অনেক সময় ছাড়িয়ে যায় ভদ্রতার সীমাও।

সে কারণেই বাবরের বাবা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সব সম্মানিত ও কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে অনুরোধ করছি, কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। যদি কেউ জবাব দেয়, তাহলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না। আপনারা অতীত, আর এই দরজা কখনো খুলবে না।’

টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা দলে থাকার পরও বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেছেন বাবরের বাবা, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি দলের বছরের সেরা দলে থাকা এবং ক্যাপ পাওয়া সত্ত্বেও দল থেকে বাবর বাদ পড়েছে। এটি ব্যাপার নয়। সে জাতীয় টি-টোয়েন্টি ও পিএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করবে এবং শিগগিরই দলে ফিরে আসবে।’

আরও পড়ুনপারভেজের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়, জিতেছে মোহামেডানও১ ঘণ্টা আগে

পাকিস্তানের সমর্থকদের বাবরের রেকর্ডের দিকে চোখ বোলানোর অনুরোধ করেছেন তিনি, ‘যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন, আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, সারা দিন অনেক কথা বলে যারা সমস্যা তৈরি করে, তাদের কথা শোনার আগে একবার পিসিবির ওয়েবসাইটে তার পারফরম্যান্স দেখে নিন। বাকিদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। পাকিস্তান চিরজীবী হোক।’

বাবরের বাবা বাবরের বিষয়ে অনেক কথা বলেন, এমন একটা কথা পাকিস্তান ক্রিকেটে শোনা যায়। এই অভিযোগেরও কড়া জবাব দিয়েছেন বাবরের বাবা, ‘কেউ কেউ বলে, বাবরের বাবা অনেক কথা বলে। আমি তার (বাবরের) প্রথম ও শেষ কোচ, মুখপাত্র, পরামর্শক এবং সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী।’

আরও পড়ুনআইপিএলে ড্রেসিংরুমে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের বউ–বান্ধবী০৪ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব বর র ব ব দল থ ক সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ