দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্তই কি তামান্না-বিজয়ের প্রেম ভাঙার কারণ
Published: 6th, March 2025 GMT
লুকোছাপা না করে বিজয় ভার্মার সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করেছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। শুধু প্রেম নয়, বিয়ের কথাও এসেছিলে অনেক গণমাধ্যমে। তবে বিয়ে তো দূরের কথা, সপ্তাহখানেক হলো তাঁদের প্রেমের সম্পর্কটাই নাকি ভেঙে গেছে। এমন খবরে ভক্তদের মনে নানা প্রশ্ন, কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? আদৌ কি বিচ্ছেদের পথে এই পাওয়ার কাপল?
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক তাঁদের। নিজস্ব স্টাইলেই ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তাঁরা। ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’-এর শুটিংয়ের সময় থেকেই তামান্না এবং বিজয় ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
বিচ্ছেদের কারণ খুঁজতে গিয়ে কেউ বলছেন, দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য এর জন্য দায়ী। কেউ আবার বলছেন, কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে দু’জনেই একে অপরকে সময় দিতে পারছিলেন না।
সম্প্রতি, একটি প্রতিবেদনে এমনটাও দাবি করা হচ্ছে যে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
পিঙ্কভিলার সূত্র বলছে, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে তামান্না ভাটিয়া এবং বিজয় বর্মার ব্রেকআপ হয়। কিন্তু, এখনও তাঁরা ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্ব বজায়ও রাখতে চান। এই মুহূর্তে তাঁরা দু’জনেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।
তবে অন্য একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তামান্না শিগগিরই বিয়ে করে সংসার শুরু করতে চাইলেও, বিজয় প্রস্তুত নন। ফলে দু’জনের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে।
কিছু দিন আগে শুভঙ্কর মিশ্রকে দেওয়া বিজয়ের সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি তামান্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছিলেন।
বিজয় বলেছিলেন, ‘আমরা দু’জনেই একমত হয়ে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলাম। লুকিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন কখনও অনুভব করিনি।’ এখন প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত। সূত্র:
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’