ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ১০ রমজানের মধ্যে শেষ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইন পদ্ধতিতে ক্লাস পরিচালনার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ স্মারকলিপি দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের, সদস্যসচিব মহির আলম, মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদিসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ন্যায্য মূল্যে পুষ্টিকর খাবারের সুব্যবস্থা নেই। হলগুলোর ক্যানটিন ও মেসের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রোজা রাখা কষ্টকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্টসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। হলের খাবারের দাম ও মান বিবেচনায় রমজানে দীর্ঘদিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। অপর দিকে রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খাবারের অপ্রাপ্যতার কারণে অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবার মূল ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য রোজা রেখে ক্লাসে আসাটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমন অবস্থায় ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম রকল প রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ