নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে ট্রাম্পও রয়েছেন
Published: 6th, March 2025 GMT
চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য ৩০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে। রাজনীতিবিদরা জানিয়েছেন যে তারা এই পুরষ্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছেন।
নোবেল আইন অনুসারে, মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় ৫০ বছর ধরে গোপন রাখা হয়।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মোট ৩৩৮টি মনোনয়নের মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই সংখ্যা আগের বছরের ২৮৬টি মনোনয়নের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। তবে ২০১৬ সালে রেকর্ড ৩৭৬টি মনোনয়নের চেয়ে অনেক কম।
নোবেল পুরস্কার কমিটি মনোনীতদের সম্পর্কে সসবময়েই মুখ বন্ধ রাখে। তবুও মনোনয়নের যোগ্য ব্যক্তিরা - বিশ্বের যেকোনো দেশের সাবেক বিজয়ী, আইন প্রণেতা ও মন্ত্রী এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক - তাদের প্রস্তাবিত ব্যক্তি বা সংস্থার নাম প্রকাশ করতে স্বাধীন।
সোমবার মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেল ইসা এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছিলেন, তিনি ট্রাম্পকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করবেন। ‘এর চেয়ে বেশি আর কেউ যোগ্য নয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পরে মার্কিন গণমাধ্যম ইসার কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বলেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি তাকে এই মনোনয়নে অনুপ্রাণিত করেছে।
ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির সংসদ সদস্য ওলেকজান্ডার মেরেঝকো নভেম্বরে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। নির্বাচনে সদ্য জয় পাওয়া ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই ছিল তার উদ্দেশ্য।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র র জন য ম মন ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’