রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 6th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগপদ্ধতি সংস্কার এবং অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজনের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে মিছিলটি বের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজনের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনস্নাতকের ফল প্রকাশের আগেই প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ০৫ মার্চ ২০২৫সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, সদস্যসচিব আল শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আল শাহরিয়ার।
সমাবেশে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা এত দিন চুপ ছিলাম শুধু বিভাজনের রাজনীতি চাইনি বলে। আমাদের এই নিশ্চুপ থাকায় সমন্বয়কদের বিভাগগুলোর শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। আমরা আজ স্পস্ট জানিয়ে দিচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নিয়োগ–বাণিজ্য আর চলবে না। সেই সঙ্গে সম্প্রতি অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।’
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য কর্মকর্তা পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘পৃষ্ঠপোষক’কে নিয়োগ০৩ মার্চ ২০২৫আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘উপাচার্য বলেছেন, যাঁরা অ্যাডহক নিয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁরা আইন জানেন না, বোঝেন না। উপাচার্যকে বলতে চাই, যাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরা আপনার ছাত্র এবং আপনার সঙ্গেই রাজপথের আন্দোলনকারী। আপনি আমাদের এ জ্ঞানকে ছোট করে দেখতে পারেন না। গণ–অভ্যুত্থানের পরে যে অ্যাক্ট উপাচার্যকে ফ্যাসিস্ট বানাতে পারে, সেই অ্যাক্ট থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আল শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডহক নিয়োগের আইন, এটা একক ক্ষমতার কারণে উপাচার্যকে স্বেচ্ছাচারী বানায়। সম্প্রতি উপাচার্য এ আইনে চারটি নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব নিয়োগ বাতিল করা না হলে প্রশাসন ভবনে আমরা তালা লাগাতে বাধ্য হব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫