২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দলকে খেলানোর প্রস্তাব, বিবেচনা করছে ফিফা
Published: 7th, March 2025 GMT
১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়ার পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ হয়েছে ৩২ দলের বিশ্বকাপ অধ্যায়। ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮ দল। তবে পরের বিশ্বকাপে, অর্থাৎ ২০৩০ সালে বদলে যেতে পারে দলের সংখ্যা। ফিফা এখন বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৪৮ দলের পরিবর্তে ৬৪ দল খেলানোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে দেখছে।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা এরই মধ্যে জটিলতা তৈরি করেছে। সেবারের বিশ্বকাপ খেলা হবে তিনটি ভিন্ন মহাদেশে। যেখানে মূল আয়োজক হিসেবে আছে স্পেন, পর্তুগাল ও মরোক্কা। আর বিশ্বকাপ আয়োজনের শতবছর পূর্তি উপলক্ষে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে খেলা হবে একটি একটি করে ম্যাচ।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়েছিল উরুগুয়েতে। তবে এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নতুন করে দাবি উঠেছে টুর্নামেন্টে দলসংখ্যা বাড়িয়ে ৬৪ করতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ জানিয়েছে, উরুগুয়ের ফিফা কাউন্সিল সদস্য ইগানাসিও আলোনসো গত বুধবার ফিফার বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন। সেখানে ফুটবল-সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ব্যক্তিত্বরা এ নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট গিয়ানন্নি ইনফান্তিনো নাকি এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ তিন মহাদেশের ৬ দেশে০৪ অক্টোবর ২০২৩২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অবশ্য আগে থেকেই সমালোচনা ছিল। বলা হচ্ছিল, বিভিন্ন দেশে আয়োজনের কারণে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কারণ, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে দলগুলো এবং সমর্থকদের প্রচুর বিমান ভ্রমণ করতে হবে। এই অবস্থায় দলের সংখ্যা যদি আরও বাড়ানো হয়, তবে সেটি পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।
সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।
জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।