ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার বিচার শুরু আগামী সপ্তাহে
Published: 7th, March 2025 GMT
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আটজন পেশাদার চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগে মামলা করা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম পিছিয়ে চলতি বছরের মার্চে নেওয়া হয়।
’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তির মৃত্যুর চার বছর পর অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে আলোচিত সেই মামলার বিচারিক কার্যক্রম। বার্তা সংস্থা এএফপি আগামী মঙ্গলবার থেকে বিচার কার্য শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রোতে শুরু হতে যাওয়া চার মাসব্যাপী এই বিচারিক কার্যক্রমে ম্যারাডোনার পরিবার এবং চিকিৎসকসহ ১০০ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে। বিচারে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবাসের সাজা হতে পারে ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত।
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা মাঠ ও মাঠের বাইরে সমানভাবে আলোচিত ছিলেন। আর্জেন্টিনাকে প্রায় একক কৃতিত্বে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো ম্যারাডোনা দীর্ঘদিন কোকেন ও মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন।
ম্যারাডোনা ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর বুয়েনস এইরেসে নিজ বাসায় মারা যান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’