ফরিদপুরে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে তরুণী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা
Published: 7th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ্ আল মিলনের (২৬) বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী তরুণীকে (১৯) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় আবদুল্লাহ্ আল মিলন ও তাঁর দুই সহযোগীকে আসামি করে মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ্ আল মিলন আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ্ আল মিলন সেই প্রেমে বাধা দেন। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণী মিলনের বাড়িতে যান। মিলন ঘরের ভেতরে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মিলন নিরাপদ স্থানে চলে যান।
ওই দিন রাতেই ওই তরুণী বাদী হয়ে আবদুল্লাহ আল মিলন ও তাঁর দুই সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৪) এবং সোহেল শেখের (৩৩) নামে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ্ আল মিলন বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ তাঁকে ফাঁসিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন বলেন, ‘এ ঘটনার ভিডিও আমার কাছে এসেছে এবং বিষয়টি ফেসবুকেও দেখেছি। এটা ষড়যন্ত্র না সত্য, খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনাটি সত্য হলে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ বলেন, কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আবদুল্লাহ্ আল মিলনসহ তাঁর দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ আলফ ড ঙ গ ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//