ঈদের ‘ব্রেকিং নিউজ’ দিতে ক্যামেরার সামনে তটিনী
Published: 8th, March 2025 GMT
বেশ সিরিয়াস চরিত্র, অথচ মজার! এমন সম্মিলন সচরাচর ঘটে না। যেমন ঘটনা নিয়ে আসছে ঈদে হাজির হচ্ছেন সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি তৌসিফ মাহবুব ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তাদের নিয়ে ইমরোজ শাওন নির্মাণ করেছেন সিএমভি’র ঈদ স্পেশাল নাটক ‘ব্রেকিং নিউজ’। গল্প ভাবনা নির্মাতার হলেও এটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ।
নির্মাতা শাওন জানান, নাটকটির গল্প আগাবে শহরের শীর্ষসন্ত্রাসী ইফতি এবং ‘ক্রাইম ওয়াচ’ টিভি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক-প্রতিবেদক মারিয়াকে ঘিরে। বলা যায়, সন্ত্রাসী ও সাংবাদিকের মধ্যকার টানাপোড়েন উঠে আসবে প্রেম ও পরাজয়ের মোড়কে। চরিত্র দুটিতে যথাক্রমে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও সাইয়ারা তটিনী।
তৌসিফ-তটিনী ছাড়াও এর বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন মুকিত জাকারিয়াসহ অনেকে।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘ব্রেকিং নিউজ’সহ রোজার ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছে ২০টি বিশেষ নাটক। যা প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হবে চাঁদরাত থেকে।
  
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’